সাদিকুর রহমান সামু: কমলগঞ্জে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে বসতঘরে হামলা চালিয়ে বসতঘরটি মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। হামলার এ ঘটনায় নারী,শিশুসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের বড়চেগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জরিত থাকার অভিযোগে ইসলাম মিয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নে বালু মহাল নিয়ে বড়চেগ গ্রামের সোলেমান মিয়া গংদের সাথে পূর্ব বিরোধ ছিল একই গ্রামের হারুনুর রসিদ গংদের। এ ঘটনার জেরে সোমবার (০৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ রসিদে শ্বশুরের বসতঘরে হামলা চালায় সোলেমান গংরা। এ সময় হামলাকারীরা বসতঘরে লুটপাট চালায় এবং ঘরে থাকা নারী,শিশুসহ পরিবারের সদস্যেদের মারধর ও লাঞ্চিত করা হয়। পরে সশস্ত্র হামলাকারীরা টিন সেটের বসত ঘরটি কেটে ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে চলে যায়। হামলায় সাফিয়া বেগম, সুরমা বেগম, ছামাদ মিয়া ও মুয়িব খান, মুকিদ মিয়া আহত হলে আহতদের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আহত সাফিয়া বেগম জানান, সুলেমানের নেতৃত্বে হামলাকারীরা একনলা বন্ধুক এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বসত ঘরে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় ঘরের বাহিরে তার মা ও বাবাকে হামলাকারীরা গাছের সাথে বেঁধে রাখে। তার প্রায় দুই বছর বয়সের ছেলেকে কেড়ে ছুড়ে ফেলে হামলাকারী মুহিন। দিনের বেলা এমন তান্ডব চালালেও প্রান ভয়ে এলাকার লোকজন তাদের বাঁচাতে আসেনি বলে সাফিয়া জানান। এক প্রশ্নের জবাবে সাফিয়া বলেন, ভেঙ্গে ফেলা ঘরে তার বাবা ৭/৮ বছর ধরে বসবাস করছেন। এ ঘটনায় আব্দুল খালিক বাদি হয়ে সোমবার সন্ধ্যায় সুলেমান মিয়াকে প্রধান আসামী করে ১৩ জনের নাম উল্লখ করে অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জনের নামে কমলগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত সুলেমান মিয়া বলেন, জায়গাটি তার আত্মীয়ের। হারুনের শ্বশুড় সেটা জবর দখল করে রেখেছিল। তবে ঘটনার সময় তিনি শ্রীমঙ্গলে ছিলেন বলে জানান।
কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনার সাথে জরিত থাকার অভিযোগে এক জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামীদের আটকে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।